ল্যাপটপ ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ যেভাবে বাড়াবেন
ল্যাপটপের যে পার্টসটি নষ্ট হবার মধ্যে সবার আগে পড়ে তাহল ল্যাপটপের ব্যাটারি। আর এই ব্যাটারি হল লিথিয়াম আয়ন এর ব্যাটারি বা Li-ion ব্যাটারি। ল্যাপটপের Li-ion ব্যাটারি লাইফ স্প্যান ৪০০-৬০০ ফুল চার্জ ও ডিসচার্জ সাইকেল হয়, অর্থ্যাৎ একবার চার্জ দিয়ে যদি শেষ করতে থাকেন আর এভাবে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে খুব দ্রুত আপনাকে আরেকটি ব্যাটারি কিনতে হবে। নতুন ল্যাপটপের ক্ষেত্রে প্রথমবার ৮ঘন্টা বন্ধ রেখে ল্যাপটপ ব্যাটারি অবশ্যই চার্জ করবেন আর কেনার পর প্রথম সপ্তাহে মোট চারবার চার্জ ও ডিসচার্জ করে ল্যাপটপ ব্যবহার করুন, নতুন ব্যাটারির ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। এতে ব্যাটারি ফুল পারফরমেন্সের জন্য তৈরি হবে। এরপর আর এভাবে চার্জ-ডিসচার্জ করার দরকার নেই।পরবর্তীতে এরকম যত করবেন তত ব্যাটারী সাইকেল কমবে আর চার্জ দেবার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ পাবার চেষ্টা করবেন। আর সাধারণভাবে AC সাপ্লাই দিয়ে চালানোর চেষ্টা করুন। আবার বেশি AC সাপ্লাইয়ে চালাবেন না, AC সাপ্লাইয়ের মাঝে মাঝে ব্যাটারী এর পাওয়ার ও ব্যবহার করুন। সবসময় AC সাপ্লাই ব্যবহারে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে দিবে। প্রতি ৮-১০দিনে ব্যাটারীটিকে সম্পূর্ণ ডিসচার্জ করুন। ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ব্যবহার করবেন না তাহলে ব্যাটারিটি খুলে পরিস্কার পলিথিনে মুড়িয়ে রাখুন সাথে অবশ্যই সিলিকা জেলের প্যাকেট রাখবেন, খুব বেশি উষ্ণ নয় বা শীতলও নয় এমন জায়গায় রাখুন।
অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ব্যাটারি লাইফ যেভাবে বাড়াবেন-
১. সবসময় Accounts Sync চালু করে রাখবেন না, এটি চালু করে রাখলে ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস হিসেবে কাজ করে এবং ব্যাটারি পাওয়ার খরচ হয় এতে, যখন দরকার হবে শুধু তখনই Sync করুন, এরপর বন্ধ করে রাখুন।
২. Wi-Fi এবং Bluetooth সবসময় অন করে রাখবেন না, যখনই প্রয়োজন হবে তখনই অন করুন। Anyshare বা Shareit ব্যবহার করে থাকলে এগুলো ব্যবহার শেষে Wi-Fi বন্ধ হয়েছে কিনা চেক করুন, অনেক সময় বন্ধ হয় না, সেক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি বন্ধ করুন।
৩. সবসময় ডাটা কানেকশন অন করে রাখবেন না, প্রয়োজন শেষে ডাটা কানেকশন বন্ধ করে দিন।
৪. আপনার এলাকায় যদি 3G না থাকে বা আপনি যদি 3G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে না চান সেক্ষেত্রে সেটিংস এ গিয়ে Mobile Network Setting এ যান এবং সেখান থেকে WCDMA মোড বাদ দিয়ে GSM মোড সিলেক্ট করুন, উল্লেখ্য 3G মোডে 2G অপেক্ষা বেশি পাওয়ার খরচ হয়।
৫. আপনি যদি এমন কোন এলাকায় যান যেখানে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল খুবই দুর্বল বা নেটওয়ার্ক সিগন্যাল নেই সেখানে Airplane Mode চালু করুন, কারণ দুর্বল নেটওয়ার্ক বা নেটওয়ার্ক সিগন্যাল না থাকলে আপনার স্মার্টফোনটি নিজে থেকে বারবার নেটওয়ার্ক খুজতে থাকে এতে ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়।
৬. স্ক্রিনের উজ্জলতা ব ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন, এটি আপনার ডিভাইসের ব্যাটারি লাইফ অনেকাংশে বাচিয়ে দেবে, ব্রাইটনেস 27% থেকে 45% এর মধ্যে রাখুন, ডিভাইসে লাইট সেন্সর থাকলে সেক্ষেত্রে ব্রাইটনেস Auto Adjustable করে রাখুন।
৭. একসাথে বেশি অ্যাপস ব্যবহার করবেন না, যে অ্যাপসগুলো আর লাগছে না সেগুলো ব্যাকগ্রাউন্ড প্রসেস থেকে বন্ধ করে দিন।
৮. স্ক্রিণের Sleep Mode নির্ধারণ করে দিন ১৫ সেকেন্ড অথবা ৩০ সেকেন্ড এর বেশি করবেন না।
৯. GPS এ প্রচুর পাওয়ার লাগে, যখনই প্রয়োজন হবে শুধু তখনই এই GPS চালু করুন।
১০. ব্যাটারির তাপমাত্রা চেক করুন, ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, তাই যাতে দ্রুত গরম না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন, ডিভাইসে অতিরিক্ত কবার ব্যবহার করবেন না, এতে ব্যাটারির তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, আর ডিভাইস হতে নির্গত তাপ বের হতে পারবে না।
আর ব্যাটারির অবস্থা লক্ষ্য রাখতে Battery Doctor অ্যাপসটি ব্যবহার করুন।