……কিছু এলোমেলো কথা……
স্বাগতম

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম। এটিই আমার প্রথম বাংলা ব্লগ,আমি এখানে আপনাদের জন্য কিছু তথ্য শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে আর এখানে সবকিছুই ফ্রী।আমার ব্লগ আমার নিজস্ব চিন্তা আর মন্তব্যের বহিঃপ্রকাশ, তাই আমার কোন মন্তব্য যদি আপনাকে দুঃখ দিয়ে থাকে তাহলে আমি এর জন্য দুঃখিত। আর আমার যে মন্তব্যের জন্য আপনি দুঃখ পেয়েছেন বা আমার কোন পোস্ট সর্ম্পকে আপানার কোন মতামত থাকলে তা আমাকে জানাবেন। আশা করি আমার ব্লগটি আপনার উপকারে আসবে, ধন্যবাদ। ইফতেখার আলম

মোবাইল চার্জের ৭ টিপস!

কয়েক দিন আগেই মোবাইল সেটটা কিনলাম, অথচ ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে’_প্রায়ই এমন কথা শোনা যায়। অনেকে আবার বলেন, ‘এ সেটের ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো নয়। চার্জ খুব অল্প সময়ের জন্য থাকে।’ এসব সমস্যা কিন্তু অসাবধানতার কারণেই ঘটে। একটু সতর্ক থাকলেই ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। এ বিষয়ে সাতটি টিপস দিয়েছেন মোবাইল সার্ভিসিং প্রতিষ্ঠান নূর টেলিলিংকের স্বত্বাধিকারী সাত্তার হোসেন
ভাইব্রেশন বন্ধ রাখুন
মোবাইল ফোনে সাধারণ রিংটোনের তুলনায় ভাইব্রেশন ব্যাটারি থেকে বেশি চার্জ নষ্ট করে। তাই খুব জরুরি (যেমন_ মিটিং বা ক্লাসে থাকা অবস্থায়) না হলে ভাইব্রেশন বন্ধ রেখে শুধু রিংটোন চালু করে রাখা উচিত। এতে ব্যাটারির চার্জ সাশ্রয় হবে।

ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক হোন!
মোবাইল ফোনে এজ (Edge সুবিধার কল্যাণে এখন প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাটারির চার্জের বিষয়টি মাথায় রেখে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে সংযমী হতে হবে। কারণ ইন্টারনেট ব্রাউজার চালু রাখলে সাধারণত ডিসপ্লে লাইটও চালু থাকে। আবার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিটিএসগুলোর (বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন) দূরত্ব বেশি থাকায় মোবাইলের সঙ্গে নেটওয়ার্ক আদান-প্রদানে ব্যাটারি থেকে প্রচুর শক্তি নষ্ট হয়। এ জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হয়।

ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই বন্ধ রাখুন
এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে তথ্য আদান-প্রদানে মোবাইল ফোনের ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই ব্যবহার করা হয়। কাজ শেষে অনেকেই ব্লুটুথ বন্ধ করতে ভুলে যান। ফিচারটি যতক্ষণ চালু থাকে, ততক্ষণই এটি ব্যাটারির শক্তি ক্ষয় করে। কাজ শেষে তাই ব্লুটুথ ও ওয়াইফাই সংযোগ অবশ্যই বন্ধ রাখুন।

ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন
মোবাইল ফোনে কোনো অ্যাকটিভিটি থাকলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিসপ্লে আলো চালু করে। এ আলোর জন্য ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হয়। মোবাইলে চার্জ কম আছে মনে হলে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস মধ্যম করে রাখাই ভালো। এতে ব্যাটারির অনেক চার্জ বাঁচবে। আর মোবাইলের কলিং অপশনের ব্যাকলাইটের টাইম কমিয়েও ব্যাটারির চার্জ বাঁচানো সম্ভব। গেইমস খেলা, ভিডিও গান দেখা ও শোনায় হিসাবি হতে হবে।

নেটওয়ার্কের বাইরে বন্ধ রাখুন ফোন
মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সিগন্যাল অপারেটরের সঙ্গে সব সময় সংযুক্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনে যখন নেটওয়ার্ক থাকে না, তখনো এটি অনবরত নেটওয়ার্ক খুঁজতে থাকে। এতে ব্যাটারির চার্জও দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এ জন্য যেসব এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই, সেখানে অবশ্যই ফোনটি বন্ধ রাখা উচিত।

আর্দ্রতা ও তাপ থেকে দূরে রাখুন
ব্যাটারির জন্য অতিরিক্ত তাপ ও আর্দ্রতা বেশ ক্ষতিকর। ঠাণ্ডা বা তাপে যেকোনো সময় চার্জ একেবারে শূন্য হয়ে যেতে পারে। এতে ব্যাটারি পুরোপুরি নষ্টও হয়ে যেতে পারে। মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ চার্জ দিলেও ব্যাটারি গরম হয়ে যায়। ফলে ব্যাটারি স্বাভাবিক ক্ষমতা হারায়। আবার অতিরিক্ত ঠাণ্ডায়ও ব্যাটারির একই ধরনের ক্ষতি হয়।

দূরে রাখুন পানি থেকে
ব্যাটারির বড় শত্রু পানি। অনেকে খেলনা হিসেবে শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন দেন। বেশির ভাগ শিশুই এটি মুখে দেয় এবং ফোনে লালা লেগে যায়। অল্প পরিমাণ পানি ঢুকলে বা লালা লাগলে ফোনে তাৎক্ষণিক সমস্যা না হলেও ধীরে ধীরে তাতে ফাঙ্গাস পড়ে যায়। আর ফাঙ্গাসের কারণে ফোনের ‘মাদারবোর্ডের চার্জিং সিস্টেম’ নষ্ট হয়ে যায় এবং ব্যাটারির ক্ষমতা কমে যায়।

সূত্রঃ দৈনিক কালের কন্ঠ

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.